![]() |
ঈশ্বরদী ১৯ |
জাত এর নামঃ ঈশ্বরদী ১৯
আঞ্চলিক নামঃ
অবমূক্তকারী প্রতিষ্ঠানঃ বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট
জীবনকালঃ ০ দিন
সিরিজ সংখ্যাঃ 19
উৎপাদন ( সেচ সহ )
/ প্রতি হেক্টরঃ ৮৩-৯৭ টন কেজি
উৎপাদন ( সেচ ছাড়া
) / প্রতি হেক্টরঃ ০ কেজি
জাত এর বৈশিষ্টঃ
১। লাল পঁচা রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতা মধ্যম প্রকৃতির ।
২। উচ্চ ফলনশীল, মধ্যম মানের গুড় তৈরী হয় ।
৩। পর্বমধ্য কনোইডাল (Conoidal) আকৃতির, পুষ্পক এবং মধ্যম
পরিপক্ক জাত ।
৪। আখের চোখ মধ্যমাকৃতির ও গোলাকার এবং উপরিভাগ গ্রোথরিং
স্পর্শ করে ।
৫। বারিরের অরিকল ডেন্টয়েড (Dentoid) এবং ভিতরের অরিকল ট্রানজিশনাল
৩ (Transitional-3) ধরনের ।
৬। পাতার খোলে অল্প কিছু হুল (Spine) দেখা যায়।
চাষাবাদ পদ্ধতিঃ
১ । বপনের সময় :
আগাম
রোপণ : আগস্ট- সেপ্টেম্বর মধ্যম রোপণ : অক্টোবর- ডিসেম্বর নাবি রোপণ : ফেব্রুয়ারী
– এপ্রিল
২ । মাড়াইয়ের সময় : অক্টোবর – নভেম্বর, ডিসেম্বর – জানুয়ারী,
ফেব্রুয়ারী- মার্চ।
৩ । সার প্রয়োগ পদ্ধতি (বেলে মাটির জন্য ) : ইক্ষু রোপণের
পূর্বে সম্পূর্ণ ফসফেট, জিপসাম, জিংক, ম্যাগনেসিয়াম এবং এক তৃতীয়াংশ ইউরিয়া ও অর্ধেক
পটাশ সার নালায় প্রয়োগ করে কোঁদাল দ্বারা হালকাভাবে কুপিয়ে মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে
হবে। এক তৃতীয়াংশ ইউরিয়া ও পটাশ সার ইক্ষুর কুশি উৎপাদন সময়ে (১২০-১৫০ দিনের মধ্যে)
উপরি প্রয়োগ করতে হবে। বাকি এক তৃতীয়াংশ ইউরিয়া ও পটাশ সার প্রথম উপরি প্রয়োগের এক
মাস পরেই দ্বিতীয় দফায় উপরি প্রয়োগ করতে হবে।
৪ । সার প্রয়োগ পদ্ধতি (এটেল মাটির জন্য ) : ইক্ষু রোপণের
পূর্বে সম্পূর্ণ ফসফেট, জিপসাম, জিংক, ম্যাগনেসিয়াম এবং অর্ধেক ইউরিয়া ও অর্ধেক পটাশ
সার নালায় প্রয়োগ করে কোঁদাল দ্বারা হালকাভাবে কুপিয়ে মাটির সাথে ভালভাবে মিশিয়ে দিতে
হবে। বাকি অর্ধেক ইউরিয়া ও পটাশ সার ইক্ষুর কুশি উৎপাদন সময়ে (১২০-১৫০ দিনের মধ্যে)
উপরি প্রয়োগ করতে হবে।
৫ । সার প্রয়োগ পদ্ধতি (রোপা ইক্ষু ক্ষেতের জন্য ) : ইক্ষু
রোপণের পূর্বে সম্পূর্ণ ফসফেট, জিপসাম, জিংক, ম্যাগনেসিয়াম সার নালায় প্রয়োগ করে কোঁদাল
দ্বারা হালকাভাবে কুপিয়ে মাটির সাথে ভালভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। ইউরিয়া ও পটাশ সার চারা
রোপণের পূর্বে প্রয়োগ না করে চারা রোপণের ২০-৩০ দিন পর অর্ধেক ইউরিয়া ও পটাশ সার চারার
গোড়ায় স্থানীয়ভাবে প্রয়োগ করে মাটির সাথে ভালভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। বাকী অর্ধেক ইউরিয়া
ও পটাশ সার ইক্ষুর কুশি উৎপাদন সময়ে (১২০-১৫০ দিনের মধ্যে) উপরি প্রয়োগ করতে হবে। সার
উপরি প্রয়োগের সময় জমিতে পর্যাপ্ত রস থাকা আবশ্যক। সেচের ব্যবস্থা না থাকলে বৃষ্টির
জন্য অপেক্ষা করতে হবে। উপরি প্রয়োগের পরপরই সারগুলো মাটির সাথে ভালভাবে মিশিয়ে দিতে
হবে।